ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

খুটাখালীতে সর্বোচ্চ বয়সী সিকান্দরের পাশে চকরিয়া ইউএনও! চকরিয়া নিউজে সংবাদ প্রকাশের জের…

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :: পাঠক প্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম চকরিয়া নিউজ’র সংবাদ প্রকাশের পর দেশের সর্বোচ্চ বয়সের জীবিত মানুষকে স্বচক্ষে দেখতে গেলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর উদ্দীন মু. শিবলী নোমান।আজ শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ছুটে আসেন দীর্ঘ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া সিকান্দরের বাড়িতে। এসময় তিনি তাঁর শরীরের খোঁজ-খবর নিয়ে বসত বাড়ির জন্য ঢেউটিন, ঘুমানোর জন্য খাট, লেপ-তোষক প্রদানের আশ্বস্থ করেছেন। বলছিলাম চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার সর্বোচ্চ বয়সী সিকান্দরের কথা। দীর্ঘ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া এ মানুষটির স্মৃতি শক্তি এখনো বিদ্যমান। দেশে গড় আয়ু যেখানে ৭০ বছর সেখানে প্রায় দেড়শত বছরের জীবিত সিকান্দরকে নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে তার নাম গ্রীনিজবুকে লেখাতে পারলে বর্হিবিশ্বে দেশের সুনাম বাড়বে এমনতর আশা করছেন এলাকাবাসি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিন পাড়ার বাসিন্দা মোঃ সিকান্দর। স্থানীয়দের দেয়া ভাষ্যমতে, বর্তমান বয়স ১৫০ এর কম-বেশি নয়। সিকান্দরের জন্ম হয়েছে ব্রিটিশ যুদ্ধের অনেক আগে। সিকান্দরের পিতার নাম মৃত হারু মিয়া ও মাতার নাম মৃত ছুরুত বেগম। সে ব্রিটিশ যুদ্ধের আগে বিভিন্ন গ্রাম থেকে পৃথক ভাবে বিয়ে করেন ৩টি। কালের বির্বতনে ৩ স্ত্রীর কোনটি বেঁচে নেই। বর্তমানে বেঁচে আছেন ৭ ছেলে ৩ মেয়ে। সিকান্দরের ৩য়পুত্র ছৈয়দ আলম (৭০) জানান, তার বড় ভাইয়ের বয়স ১শ এর উপরে বোনের বয়সও ৯০ ছুইছুই।

সিকান্দরের ছোট ছেলে ব্যবসায়ী আলতাজ জানায়, ছোটবেলা থেকে বাবাকে বৃদ্ধাবস্থায় দেখে আসছি। কিছুদিন আগেও বাবা পায়ে হেটে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছেন। তিনি ধারনা করছে অনুমানিক ১৪০-১৪৫ বছরের বয়সের ভারে ক্রমান্বয়ে ন্যুয়ে পড়ায় এবাদত করতে মসজিদে যেতে না পারলেও সারারাত তিনি তাজবিহ্ নিয়ে দোয়া দুরুদ পাঠ করেন। কীভাবে তিনি এত বছর বেঁচে আছেন ও জন্ম কি ব্রিটিশযুদ্ধের আগে কি-না জানতে চাইলে সিকান্দর বলেন, ব্রিটিশতো সেদিনের কথা। এর আগেই তিনি ৩টি বিয়ে করেছেন এবং তার ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।

বিশিষ্ট লেখক কবি আ ন ম রফিকুর রশিদ বলেন, সিকান্দরের বয়স যদি হয় ১৫০ তাহলে এটি বাংলাদের জন্য গৌরব ও সম্মানের। গ্রিন্সিবুকে বর্তমানে সর্বোচ্ছ ১১৭ বছর বয়সের অধিকারি হচ্ছে জাপানের। সরকার চাইলে জাপানের সে রেকর্ড ভাংতে পারে সিকান্দরের বর্তমান বয়স দিয়ে।

স্থানীয় চিকিৎসক ডা. জহির আহমদ বলেন, এলাকাবাসিরা মনে করছেন অধিক বয়সের অধিকারি হচ্ছে সিকান্দর। সরকার উদ্যোগ নিলে তার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক বয়স নিরুপন করা গেলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে নতুন পরিচিতি পাবে। তিনি সিকান্দরের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: